শিক্ষার নাকি আজ ভাগ হয়েছে,
ভেঙ্গেছে সে দুভাগে।
ডিগ্রিধারী আর প্রকৃত শিক্ষার তকমা
সমাজ দিয়েছে তাকে ।।
ডিগ্রিধারী শিক্ষা নাকি পেশাগত,
নেই তাতে আবেগ ও আন্তরিকতা।
সিলেবাস ফুরোলেই মাস্টারমশাই বলেন,
আর কিছু শেখার নেই, যা ঘুরে বেড়া।।
প্রকৃত ও নৈতিক শিক্ষা নাকি অতিত,
স্কুল কলেজ থেকে নিয়েছে অবসর।
বর্তমান সমাজে তার ঠাঁই এখন,
বুড়োদের কণ্ঠস্বর।।
সেকাল আর একালের লড়াই যেন অন্তহীন,
খালি পদ্ধতির রুপান্তর মাত্র।
শিক্ষা মানে কি শুধুই অর্থ উপার্জনের মাধ্যম,
আর তার নেই কোন নাম, সবকিছুই কি ভ্রম?
নবসমাজ সবাইকে সমান ভাবে?
না না এতেও আছে অনেক বিতর্ক।
এ বলে বঞ্চিত আমরা,
ও বলে, আমি লাঞ্ছিত ।।
বয়স্কদের নেই মান সম্মান বেশী,
ওই যে সবাই সমান, কেউ একটু কম কেউ আবার বেশী।
স্বার্থপর সমাজে স্বার্থপরতার সংজ্ঞা গেছে পাল্টে,
জয়েন্ট ফামিলি আজ সিঙ্গেলে রুপান্তরিত হয়েছে।।
বৃদ্ধাশ্রম বাড়ছে, বাড়ছে অনাথ আশ্রম,
আদৌ কি আছে, এসবের প্রয়োজন?
সমাজ বলে আছে সবকিছুর প্রয়োজন,
ওই যে পাল্টেছে শিক্ষার মান আর ধরন।।
দিনের সাথে তাল মিলিয়ে
লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পার্থক্য যাচ্ছে ঘুচে।
লক্ষ্মী প্রথম ও শেষ উদ্দেশ্য,
গণেশ খালি মাঝে উঁকি দিচ্ছে।।
হনুমানজি মাঝে মধ্যে উপস্থিতি দেখাচ্ছেন,
ওই যে, ক্ষমতাশালীরা নিজেদের মত ক্ষমতার প্রদর্শন করছেন।
গায়ের জোর হোক বা জোর হোক অর্থের,এই দুই সম্বল,
শিক্ষা, সে আবার কি জিনিস? জোটে নাকি তাতে ভাত আর কম্বল?
ছোট্ট ছেলেরা বিদেশী ভাষা শেখে,
হারায়ে মাতৃভাষার প্রতি টান।
তাই হয়েতো মায়েরা ঠাঁই পায়ে বৃদ্ধাশ্রমে,
সম্পূর্ণ হলে সন্তানের শিক্ষালাভ।।
নৈতিক শিক্ষা নেকি পরিবারের দান,
অবদান নেই তাতে শিক্ষা ব্যবস্থার।
কথায়ে এমনই কত বিতর্কের ভিড় দেখি,
দেখি প্রাকাশ্যে অশালীনতার জোয়ার।।
আজ হয়তো এটাই শিক্ষা, তাই হয়তো হচ্ছে চারিপাশে বদ্ধ চলাচল।
বুদ্ধিজীবী আমি, চায়ের আড্ডায়ে আমার নবজাগরনের ছোঁয়া,
আড্ডা থেকে বেরিয়ে, প্রকৃতির নিয়মে তাল মেলাবো ঠিকই,
টিপ্পনীতে, এখানে কারো ছাড় থাকবে না।।
ডিগ্রি বেচে অর্থ নেব, শালীনতার করবো না আর বিচার,
অনৈতিককে বলব নৈতিক আর শিক্ষাব্যবস্থাকে দোষারোপ করাই হবে আচার।
যা ঘটছে চারিপাশে বলব না, নাই শুনব কিছু ,
খালি আঁচড় কাটবো বোবা কাগজে, আটকে মুখে কুলুপ।।