সম্পর্ক তুমি গড়লে, প্রেম দিলে নাম,
গভীরতা বাড়াতে সম্মতি জানালো মন, সময় দিলে দাম,
একটা মানুষকে ভালোবাসলে, মাথায় ঘুরলো ঘর করার চিন্তা,
সম্পর্ক নতুন নাম পেলো, পরিবর্তিত হলো সামাজিক তকমা।
তকমার পরিবর্তন নিয়ে এলো নতুন পরিস্থিতি,
এক পরিবারে ছিল বাসস্থান, এখন দুই পরিবারে উপস্থিতি,
এতগুলো মানুষকে স্বপ্নে যে তুমি কখনো দেখোনি আগে,
থাকতে চেয়েছিলে সাথে তবু অনুভুতিতে বাকিদের আপন করতে পারোনি যে।
এখন চাই দূরত্ব, চাই একাকিত্ব, আজ ভালোবাসা কারাগারবন্দি,
সবার মাঝে নিজেকে আজ অভিনয়ের প্রতিষ্ঠান ভাবতে দোষ কি ?
আমাদের সম্পর্কে দুটো মানুষ ছিল, বাকিদের কেন উপস্থিতি ?
তাদের স্নেহে বিষাক্ত জীবন, বোঝানো কখনো যাবে কি ?
আত্মীয় স্বজন দূরে দূরেই ভালো, কাছে এলে কাকে বলি,
রক্ত সম্পর্ক যে তারও, কিভাবে দূরে ঠেলে রাখি,
মন থেকে মানি না কিন্তু মনের মানুষটাকে মানি,
তার সম্পর্কদের সামলাতে অনিচ্ছা তাই ওর দিকে দোষ ঠেলি।
দোষারোপে দোষী হিসেবে কেউই সাব্যস্ত হয় না,
কিছু তিক্ত মুহূর্ত আর দূরত্ব রচিত হয় এই যা,
ভালো থাকতে চেয়েছিলাম ভালোবেসে একসাথে,
আত্মীয়দের উপস্থিতি সবকিছু দিলো জলঘোলা করে।
ভালোবাসলাম মানুষটাকে ভুলে গেছিলাম নিজের বাড়ি পরিবার,
আজ তার সম্পর্কগুলো মনে করিয়ে দেয় নিজের সম্পর্ক, মান আর আবদার,
তারটা গুরুত্ব পেলে আমারটাকেও পেতে হবে,
সাংসারিক জীবনে এই বিষয়টি ধরে তিক্ততা ও ঝগড়া তৈরী করতে হবে।।
ফলাফল শেষমেষ কি হবে তিক্ততার তা ভাববো না,
সমাধান নিজেকেই করতে হবে ধরে অপরজনকে আলোচনার প্রবেশাধিকার দেবো না,
ভাববো না, একদিন সবাই চলে যাবে তখন কে হবে অবসরের ভাগিদার ?
চিন্তাতেও আনবো না, যাকে নিয়ে ছিল সমস্ত স্বপ্ন সেই যদি চলে যায় অভিমানে, ভেঙে সব অঙ্গীকার ?