কর্মজীবনে কর্মলঘুতা কল্পনাতে ছিল না,
কর্মীদের দ্বিচারিতার কথা দর্শনে ছিল না,
আবেগের সমুদ্রে ভারসাম্যহীনতার উপলব্ধি ছিল না,
স্বপ্ন ছিল প্রকাশ্যে, আবেগ জ্বালানি ছিল,
প্রকাশ্যে আচরণ এলেও ইন্ধন দর্শনের ছিল,
প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা বর্তমান প্রজন্মের ছিল,
আবেগ ছাড়া সমস্তকিছুই যেন অর্থহীন ছিলো,
বাস্তববাদের তত্ত্ব অনেকের আজ প্রাধান্যের তালিকায়,
ক্ষতিগ্রস্ত আবেগগুলো সব মেরামতির অপেক্ষায়,
বাস্তববাদের মলাট তাদের ক্ষনিকের স্বস্তি দিলে,
ক্ষতি কি, দেওয়াকেন্দ্রিক সম্পর্কে ফিরে, যদি আশার আলো দেখিয়ে দিতে ?
আঘাত দেয় অনুভূতি, নাকি আবেগের অন্ধকার দিক?
দূরদৃষ্টতার ঘাটতি নাকি চেনা চরিত্রের অচেনা দিক?
আলো আঁধারের বিচার কে করে? নাকি সে সব হরমোনের আড়ালে ঢাকা পড়া সব দিক?
বাস্তববাদী কি সেই, যে আবেগকে বিচার করে প্রতি পদক্ষেপে ঠিক?
প্রশ্নের শেষ হয়তো নেই, কারণ দৃষ্টিকোণের ভেদ,
মানুষের মাঝে মানুষ অচেনা, সর্বনামগুলো বাড়ায় খেদ,
সময়ের ওপারে নিজের পুরোনো সংস্করণের সাথে তুলনা কি আদৌ কিছু শেখায়?
মূল্যায়নগুলো তো সেই সময়ের উপস্থিত বুদ্ধির হাত ধরেই হয়,
বিশ্বাসের ভূমিকা কতটা? নাকি সেটা আবেগের গভীরতার ওপর নির্ভরশীল?
কালের সমান্তরালে বিস্বাশ্যের হার কমিয়ে দেওয়াই কি বাস্তবিকতার নামের সাথে করায় মিল?
সমীকরণ ছোট হলেই কি আবেগের অমিল?
আর, ক্ষনিকের সাক্ষাতে দাগ কেটে যাওয়াটা ব্যক্তিত্ব নাকি সবই আবেগের কারসাজি,অভিসন্ধি গরমিল?
আচরণ, দর্শন, ব্যবহারের পেছনে আবেগ নাকি কথা বলে,
অব্যক্ত, শব্দ পাল্টায় অতীতে ঘটা কিছু ঘটনার আড়ালে,
সমস্তকিছুর মেলবন্ধনে ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে,
বিশ্লেষণে, সবাই কি সমান ভাবে আত্মপ্রকাশ করে?
কালের ব্যবধান কিছু নতুন কোন কে চিনিয়ে দেয়,
পুরোনোদের সাথে নতুনদের মেলবন্ধনের কারণ বুঝিয়ে দেয়,
ক্ষনিকের অস্পষ্টতা খুব সুন্দর ভাবে সরিয়ে দেয়,
নিরাপদ দূরত্ব দৃষ্টিশক্তির সীমাবদ্ধতা শিখিয়ে দেয়,
খুব কাছ থেকে বই পড়লে যেমন কিছুই পড়া যায় না,
বেশি কাছে থেকে মানুষের গভীরে তেমন যাওয়া যায় না,
দূরত্ব, ভারসাম্যের সাথে সমস্ত দিকে আলো ছড়িয়ে দেয়, আছে জানা,
অনুভূতির কারণগুলোকে বাড়িয়ে দিয়ে যায়, একমাত্র বোধগম্যতা,
বাৰ্তালাপের সীমাবদ্ধতা আবেগই পূরণ করে প্রায়,
অনুভূতির মাধ্যমরা নাম বদল করে,
আবেগ, অনুভূতির হাত ধরে বিশ্বাস গড়ে তোলে।